কেন বল তো ? কেন এভাবে বারবার লেখার মত তোর কাছে বা তোর মত
লেখার কাছে ফিরে আসি ? আমি বহুবার লেখা ছেড়েছি । ফিরে এসেছি আবার । কখনো মেরিটেশন করতে
পারি না । কখনো ভেতর থেকে শান্ত হতে পারি না । কেন যে ভেতরে ভেতরে সবসময় এই অশান্তি
বুঝি না । মাথায় সবসময় কি কি ঘুরছে , একটু স্থির হতে পারছি না , চিন্তার জট ছাড়াতে
পারছি না , কোথাও এতটুকু শান্তি পাচ্ছি না , একটা গুমোট ভাব মনের ভেতর । অথচ লিখতে
বসলে কি শান্ত হয়ে যাই । লিখতে বসা আমি আর সারাদিন ঘুরে বেড়ানো আমি যে কতটা বিপরীতমুখী
মানুষ নিজেই চিনতে পারি না । বিশ্বাস করুণ আপনিও চিনতে পারবেন না একদমই ।
আমি সত্যি লিখতে চাই না , আমি সত্যি তোর থেকে যতটা সম্ভব
দূরে থাকতে চাই । কিন্তু এ ব্যাধি আমার অনেক ভেতরে বাসা বেঁধে ফেলেছে । কম্পিউটার খুলে
বসি লেখা আসে না ছটফট করি , তোর বাড়ির কাছে বহুবার যাই তুইও ব্যালকনিতে আসিস না । হা
হা হাসি পায় । সবই বুঝি শুধু বোঝাতে পারি না নিজেকে । যখনই একটু বোঝানোর চেষ্টা করি
ভেসে ওঠে লেখা , তুইও একটা মেসেজ পাঠিয়ে চলে আসিস ব্যালকনিতে । শান্ত হয়ে যায় ভেতরে
ঢেউ…
কেন বল তো ? আমি
কখনোই যাই নি , সময় মিলিয়ে দিয়েছে । আর ফেরার ক্ষমতা তো কোন দিনই ছিল না আমার , নেই
। খুব ছোট বয়সে অপরিণত পরিচয় , আবার কথা বন্ধ , আবার মেলামেশা , আবার স্টপ , এই সাইকেলেয়
ঘুরে চলেছে , মাঝে কিছু মুহূর্ত , যেগুলো চোখ খোলা এবং বন্ধ কোন অবস্থাতেই অগ্রাহ্য
করতে পারি নি , পাই না । আমরা একসাথে থাকতে পারি না । আমি দূরে যেতেও পারি না । চশমা
পেরোনো কাঁচে শহর কবিতা হয়ে ওঠে…
আমি ভেতরের সব অস্থিরতা
কাটিয়ে শান্তি চাই । লিখতে চাই না , লিখতে পারলে ওড়ার স্বাদ পাই । তোর থেকে সরে তোকে
খুঁজেছি , বহু নতুন সম্পর্কে গিয়েও ফিরে এসেছি । তোকে আমি চাই না তবু কেন জানি না খুঁজেই
চলেছি ।
কি আশ্চর্য ! তবু তোর কথাই বলে গেলাম এবং বলতে গিয়েও সেই
লেখাই আমার মাধ্যম হল । লেখার কাছে ভীষণ অসহায় আমি …
@ রোহন নাম্বিয়ার ।